
মুকুল বসু :
ফরিদুরের আলফাডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত শ্রী শ্রী হরি মন্দিরে এবার ২৫১টি প্রতিমায় পালিত হচ্ছে দুর্গোৎসব। এক মন্দিরে এত বেশি প্রতিমার আয়োজন এতদঞ্চলের আর কোথাও নেই। এ কারণে আলফাডাঙ্গা হরিমন্দিরের প্রতিমা উপজেলাতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিমা দেখতে ভিড় করছেন আলফাডাঙ্গাসহ আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত দর্শনার্থীরা। দুর্গোৎসবের প্রথম দিন গতকাল রবিবার মহাষষ্ঠী পূজার দিনই এ মন্দিরে ব্যাপক দর্শণার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আসা কারিগররা তৈরি করেছেন এসব প্রতিমা। প্রতিমা গড়ার কারিগর মৃৎশিল্পী অনিল কুমার পালসহ চারজন এসেছিলেন ভারত থেকে। প্রতিমার কাজ সম্পন্ন করে তারা কয়েকদিন আগে দেশে ফিরে গেছেন। আলফাডাঙ্গার বাসিন্দা তুলি বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতিবছরই দুর্গাপূজায় ঘুরি। এই মন্দিরে অনেক প্রতিমা একসাথে দেখা যায়। এজন্য এখানে আসলে মনটা ভালো লাগে। বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক সজল দাস বলেন, ‘প্রতি বছরই সপরিবারে অনেক স্থানে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা দেখি। তবে আলফাডাঙ্গা হরিমন্দিরের প্রতিমা অনেক সুন্দর হয়। এখানে অনেক প্রতিমা এক জায়গায় দেখা যায়। শুনেছি এবার ভারত থেকে মৃৎশিল্পীরা এসে প্রতিমা বানিয়েছেন। পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কুসুমদি গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত গাইন বলেন, ‘আলফাডাঙ্গার শান্তিপ্রিয় মানুষ ধর্ম-বর্ণ বিভেদ ভুলে মিলেমিশে একসাথে বাস করে। সম্প্রীতির দূঢ় বন্ধন রয়েছে এখানে। আমাদের এখানকার ২৫১টি প্রতিমার বিশাল প্রদর্শনী দেখতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ ভিড় করে। এ বছর আমরা চেষ্টা করছি দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিতে। আলফাডাঙ্গা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্নে করতে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপে আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা নিরাপত্তা বিধানে কাজ করবেন। এ ছাড়া আমাদের নিজস্ব ভলান্টিয়ার বাহিনীতো থাকবেই।
আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজালাল আলম জানান, ‘আলফাডাঙ্গা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সাথে সার্বিক বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।



