Tuesday, June 17, 2025
Tuesday, June 17, 2025
Homeআন্তর্জাতিকইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে থেকে বেঁচে ফিরল বাংলাদেশি বিমান!

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে থেকে বেঁচে ফিরল বাংলাদেশি বিমান!

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ভয়াবহ এক মুহূর্ত পার করেছে একটি বাংলাদেশি উড়োজাহাজ। ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায় বিমানটি। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন ইরাম তালুকদার এবং কো-পাইলট রাফসান রিয়াদ।

রাত ২:১৫ মিনিট—ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে উড়াল দেয় ফ্লাইটটি। রুট অনুযায়ী এটি ভারত, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশ পেরিয়ে বাহরাইনের দিকে যাচ্ছিল। ফ্লাইটটি যখন পারস্য উপসাগরের উপর দিয়ে উড়ছিল, তখনই ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

আকাশে আগুনের ঝলকানি!
স্থানীয় সময় সকাল ৫টার দিকে ক্যাপ্টেন ইনাম আকাশে হঠাৎ উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি লক্ষ্য করেন। প্রথমে এটি সাধারণ সামরিক মহড়ার অংশ ভেবে উড়িয়ে দিলেও মুহূর্তের মধ্যেই দেখতে পান সারি সারি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে উঠে পশ্চিমের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অংশ হিসেবে ইরানের পাল্টা হামলা চলছিল তখন।

মুহূর্তেই রুট পরিবর্তন
কোপাইলট রাফসান রিয়াদ তখন ভীত ও হতবিহ্বল। ক্যাপ্টেন ইনাম দ্রুততার সঙ্গে ফ্লাইট রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। তাদের মাথায় তখন শুধু একটাই প্রশ্ন—“যদি কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পথ ভুল করে আমাদের দিকে আসে?” তিনি জানান, “সেদিন পাইলট হিসেবে আমাকে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।”

নিরাপদ অবতরণ, পরে চোখে পড়ে খবর
শেষ পর্যন্ত তারা সফলভাবে বিমানের গতিপথ পরিবর্তন করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখেন এবং নিরাপদেই পৌঁছে যান রিয়াদে। অবতরণের পর ফোন চালু করতেই জানতে পারেন, সেদিন ভোরে ইরান ইসরাইলে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

“আমি শুধু পাইলট ছিলাম না, ইতিহাসের একজন সাক্ষীও”
ঘটনার স্মৃতিচারণ করে ক্যাপ্টেন ইনাম বলেন, “সেদিন সকালে আমি শুধু একজন পাইলট ছিলাম না, ইতিহাসেরও একজন জীবন্ত সাক্ষী হয়ে থাকলাম।”

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সাম্প্রতিক পোস্ট

সাম্প্রতিক মন্তব্য

%d bloggers like this: