Tuesday, August 5, 2025
Tuesday, August 5, 2025
Homeসারা বাংলাউজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে, বন্যার...

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে, বন্যার শঙ্কা।

মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।

টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে বন্যার শঙ্কা, এতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।

রবিবার (২০ জুলাই) সকাল ৬টা বেলা ১২টা ও বিকাল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০০মিটার (অটো গেজ)। যা বিপৎসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)। ফলে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটই খুলে দিয়েছে কর্তৃপ। পাশাপাশি কমলা সংকেত জারী করা হয়েছে। অপর দিকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার (২৯.৩০) ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধির কারনে তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে। সূত্রমতে উজানের ঢল আরও বৃদ্ধি পেলে চরাঞ্চলের বসবাড়িগুলো তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, শনিবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে তিস্তা অববাহিকা সহ বিভিন্ন নদনদী অববাহিকায় ভারি ও অতিভারি বৃস্টি হয়েছে। এতে রবিবার (২০ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ৯২ মিলিমিটার, কাউনিয়া পয়েন্টে ১৪৮ মিলিমিটার, কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৮৭ মিলিমিটার, কুড়িগ্রাম সদরে ৭৮ মিলিমিটার, রংপুর সদরে ৯০ মিলিমিটার, নীলফামারী সদরে ২৭ মিলিমিটার, পঞ্চগড়ের করতোয়া পয়েন্টে ১৪০ মিলিমিটার, ঠাকুরগাঁও টাঙন পয়েন্টে ৮৬ মিলিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সূত্রটি জানায় তিস্তা নদীর ওপারে ভারতের জলপাইগুড়ি পয়েন্টে ১৩২ মিলিমিটার ও কোচবিহার পয়েন্টে ৬২ মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করার খবর পাওয়া গেছে। এতে তিস্তা নদী সহ করতোয়া, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি হু-হু করে বাড়ছে। নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, অমিতাভ চৌধুরী জানান, ভারি ও অতিভারি বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে তিস্তা অববাহিকার বাসিন্দাদের কমলা সংকেতের মাধ্যমে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ সুইচ গেট দিয়ে প্রতিমিনিটে ৪ লাখ কিউসেক পানি অপসারনে সিষ্টেম রয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সাম্প্রতিক পোস্ট

সাম্প্রতিক মন্তব্য

%d bloggers like this: