
উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের প্রাক্কালে বিমানবন্দরের সড়কে তীব্র যানজট ও মানুষের ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিএনপির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা থেকে গাড়িতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেন। সেদিন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সড়কে অবস্থান নেয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। অনেকে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মির্জা ফখরুল দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া গুলশানে নিজের বাসা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবার পথে এই সময় বিপুল সংখ্যক জনগণ তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। দীর্ঘদিন অন্যায় আক্রোশের শিকার হওয়া দেশনেত্রীর প্রতি জনগণের অমূল্য এই ভালোবাসা প্রকাশের কারণে সেদিন রাস্তায় অনেক যানজট হয় এবং অনেকের জন্যে বিভিন্ন অসুবিধার কারণ হয়।বিএনপির পক্ষ থেকে এজন্য আন্তরিক দু:খ প্রকাশ করছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকাবাসী এই সাময়িক অসুবিধাকে সুনজরে দেখবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশবাসী অবগত আছেন যে, বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে দেশনেত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেশবাসীর এটাও স্মরণ আছে যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পুরোধা বেগম খালেদা জিয়া কোনো অন্যায়ের প্রতি আপোষ না করে, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিগত সরকারের দেয়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কারাগারে থাকাকালীন সময়ে উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএনপি এবং উনার পরিবার থেকে বারবার আবেদন করা স্বত্বেও তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পান বটে; কিন্তু শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় তাকে বিদেশে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাবার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ জানুয়ারি কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমানে করে ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।