
কুমিল্লায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর এলাকার নিজবাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- রামনগর এলাকার আবু তাহেরের স্ত্রী লুৎফা বেগম (৭০) ও তার মেয়ে শিল্পী আক্তার (৪০)। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত লুৎফা বেগমের ছেলে শাহীন ও তার স্ত্রী লাকি আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রামনগর এলাকায় আবু তাহেরের স্ত্রী লুৎফা বেগম ও তার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে শিল্পী আক্তারের সঙ্গে শাহীনের স্ত্রী লাকি আক্তারের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। গত শনিবার বিকেলেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সবশেষ রবিবার দুপুরে লুৎফা বেগম ও শিল্পী আক্তারের মৃত্যুর ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, সুরতহালে নিহতদের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে শাহীন ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে।
নিহত লুৎফা বেগমের মেয়ের জামাতা মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমার শাশুড়ি, শ্যালিকা, শ্যালক ও তার স্ত্রী একই ঘরে আলাদা আলাদা রুমে থাকতেন। বৃদ্ধ মাকে খাওয়ানো নিয়ে তাদের মাঝে প্রায়ই কলহ হতো। আমরা ধারণা করছি, শাহীন ও তার স্ত্রী মিলে প্রথমে আমার শাশুড়িকে হত্যা করেছে। পরে শিল্পী বিষয়টি যখন প্রতিবেশীদের জানাতে বের হচ্ছিল তখন তাকেও হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে আমরা বাড়িতে ছুটে এসেছি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
মজিবুর রহমানের অভিযোগ, শাহিন তার বাবার কাছ থেকে এই বাড়িটি নিজ নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। বাড়িটি এককভাবে দখলে নিতে এখন সে তার মা ও বোনকে হত্যা করেছে।