মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।
নীলফামারীর ডিমলায় শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদলের নবঘোষিত কমিটিতে ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতার অন্তর্ভুক্তি ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অবশেষে ওই বিতর্কিত নেতা হাফিজার রহমানকে কমিটি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা ছাত্রদল।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে নতুন কমিটির তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেখা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা পদ পেয়েছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। বিষয়টি জানাজানি হতেই কলেজ ক্যাম্পাসসহ স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এরপর বিকেলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্স ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোজ্জাম্মেল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পরিচয় গোপন করে কমিটিতে পদ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাফিজার রহমানকে অব্যাহতি দেয়া হলো। একই সঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহিদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ডিমলা উপজেলা ছাত্রদলের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ আগস্ট শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদলের ৮ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এতে মেহেদী হাসানকে সভাপতি ও হাফিজার রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কিন্তু তদন্তে জানা যায়, হাফিজার রহমান ২০২৩ সালে খালিশা চাপানি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ডিমলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হালিমুল হোসেন রাসেল বলেন, “ছাত্রলীগের পরিচয় গোপন করে ছাত্রদলের কমিটিতে পদ নেয়ার বিষয়টি ধরা পড়ার পরপরই তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। উপজেলা সভাপতি পদপ্রত্যাশী সেলিম ইসলাম সাগরের সুপারিশে ওই কমিটি অনুমোদন হয়েছিল। তবে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর জেলা নেতৃবৃন্দ দ্রুত পদক্ষেপ নেন।
অন্যদিকে সেলিম ইসলাম সাগর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। হাফিজার রহমান ছাত্রলীগে ছিল এ তথ্য আমার জানা ছিল না। আমি তাকে সুপারিশও করিনি। বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর জেলা ছাত্রদল দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে হাফিজার রহমানের বক্তব্য জানতে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।