মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।
উজানের ঢলে নেমে আসা ভারি বর্ষণে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বেশ কিছু এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। ফসলি জমি, গবাদি পশু ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছিল কয়েক হাজার পরিবার। অবশেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে শুরু হয়েছে নদীভাঙন প্রতিরোধে জরুরি কাজ এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি। বিশেষ করে খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সুপরিটারি গ্রাম এবং ডালিয়া বাইশপুকুর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ছিল ভয়াবহ।
স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষ জানান—তাদের বসতভিটা, আবাদি জমি ও গবাদি পশু হারিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্যোগে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় জরুরি বাঁধ নির্মাণ শুরু হওয়ায় তারা সাময়িকভাবে হলেও উপকৃত হচ্ছেন।খালিশা চাপানী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন, সুরাই বেগম ও নাসিমা আক্তার বলেন, এখন সাময়িক স্বস্তি মিললেও স্থায়ী বাঁধ ছাড়া আমাদের জানমাল রক্ষা সম্ভব নয়। বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আমরা ক্লান্ত।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী হাশেম আলী বলেন, “উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে জরুরি কাজ শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। স্থানীয়রা আশা করছেন—এ উদ্যোগ সাময়িক স্বস্তি দিলেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবন ও জীবিকা টিকিয়ে রাখতে সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।