মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।
নীলফামারীর ডিমলায় জমজমাট ভাবে চলছে চোরাকারবারি ব্যবসা বিজিবি সহ প্রশাসনেকে দ্রুত বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাবসায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আড়ালে থেকে এ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই চোরা কারবারি চক্রের মূল হোতারা ধরা ছোয়ার বাইরে।
ভারতীয় সীমান্ত পশ্চিম ছাতনাইয়ের কালিগঞ্জ এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্য সহ অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আসছে ও মানব পাচার হচ্ছে অনেক আগে থেকেই এটা অনেকটাই খোলামেলা। গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) মানব পাচারের সময় সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের ৭ সদস্যের মধ্যে ২ জনকে এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) ঠাকুরগঞ্জ বিওপি ক্যাম্প।আটক মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য মিলান চন্দ্র (৩৫) ও বিপুল চন্দ্র রায় (২৫) কে ডিমলা থানায় সোপর্দ করা হলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত সোমবার রাত ১১ টার দিকে ডিমলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জ বিওপি ক্যাম্পের অধিননায়ক হাবিলদার মো: ওয়াসিম ও বালাপাড়া কোম্পানি সদর (বিওপি) এর সুবেদার মো: খাদেমুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল সীমান্তের ৭৯২ নম্বর পিলার দিয়ে ভারতে মানব পাচার করার সময় মিলান চন্দ্র ও বিপুল চন্দ্র রায়কে আটক করে এলাকাবাসীর সহায়তায়। এসময় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য ঠাকুরগঞ্জ গ্রামের তরু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম ( ৩২), মোজাম্মেল হকের ছেলে স্বপন ইসলাম (৩৩), মৃত নজমুদ্দির ছেলে মোজাম্মেল হক (৪৫), মতিউর রহমানের ছেলে আজহারুল ইসলাম (৪০) ও মুগুর আলীর ছেলে আ,রহিম (৩৫) পালিয়ে যায়।
পাচার কালে আটক মিলান চন্দ্র ঠাকুরগঞ্জ গ্রামের অকিল চন্দ্র রায় ও বিপুল চন্দ্র রায়, জলঢাকা থানার খারিজা গোলনা গ্রামের অতুল চন্দ্র রায়ের ছেলে। আটক মিলান চন্দ্র ও বিপুল চন্দ্র রায় কে ঠাকুরগঞ্জ বিওপি ক্যাম্পের আওতায় নয়ে বিওপি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ আটক ঐ ২ মানব পাচারকারীকে থানায় সোপর্দ করা হয় । ঠাকুরগঞ্জ বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার মো: ওয়াসিম আটক ২ জনসহ ৬ জনের নামে ডিমলা থানায় একটি মানব পাচারের মামলা দ্বায়ের করলেও অজ্ঞাত কারণে মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য আব্দুর রহিমের নাম থানায় দায়ের করা এজাহারে আসামীর তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।মানব পাচার ও মাদক কারবারী আ,রহিমের নাম থানায় দায়েরকৃত মামলায় আসামীর তালিকাভূক্ত না করায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তারা বলছেন, আ,রহিম একজন চিহ্নিত মানব পাচারকারী ও মাদক সহ গরুচোরা কারবারি সিন্ডিকেটের অন্যতম নেতা। আটক ২ জনকে আদালতে প্রেরণ করলে তার বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। জামিনে আসার পর ঐ চোরা কারবারি চক্রটি সক্রিয় হয়ে বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে। আবারো জমজমাট ভাবে শুরু করেছে, চোরা চালান কারবারির ব্যবসা।
এ ব্যাপারে বালাপাড়া কোম্পানি সদরের (বিওপি) এর সুবেদার মো,খাদেমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঐ দিনে যারা মানব পাচারের সাথে জড়িত শুধু তাদের নামে মামলা করা হয়েছে। ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ফজলে এলাহী, ২ জন গ্রেপ্তার সহ ৬ জনের নামে ঠাকুরগঞ্জ বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার ওয়াসিম কর্তৃক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এলাকার সচেতন মহল, চোরা চালান বন্ধে বিজিবি সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।