
মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে ডিমলায় লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও খাদ্য রাখার দায়ে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ)।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি, লাইসেন্স জটিলতা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, অপ্রশিক্ষিত কর্মচারী দ্বারা ওষুধ বিক্রি, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড বিক্রি, ওষুধের ইনভয়েস ও রশিদের গরমিল এবং মোড়কজাত নিয়ম লঙ্ঘনের মতো একাধিক গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ সময় তিনটি ফার্মেসি ও একটি বৌদির দোকানদারকে মোট ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত ফার্মেসিগুলো হলো—মেসার্স জামান মেডিকেল ষ্টোর (১০ হাজার টাকা), মনি ফার্মেসি (১০ হাজার টাকা) এবং জাবেদ ফার্মেসি (৫ হাজার টাকা) ও মাজেদুর রহমানকে (১ হাজার টাকা)। অভিযানে অংশ নেন জেলা ড্রাগ সুপার মিতা রায়, ডিমলা উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী মর্তুজা নেলিন এবং উপজেলা গ্রাম্য ডাক্তার সমিতির সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম প্রামাণিক প্রমুখ।
অভিযান পরিচালনা করেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুজ্জামান। তিনি বলেন, “জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে। আইন ভঙ্গকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও জানান, “এই অভিযান স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ ব্যবসার বিরুদ্ধে একটি কঠোর বার্তা দেবে। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রত্যাশা, প্রশাসনের এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে ফার্মেসিগুলোর অনিয়ম কমবে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।