
মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তা অববাহিকায় অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে ফলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার (৫২.১৫) দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি সুইচগেট খুলে রেখে সংকেত দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র মতে, দিনে ১১ থেকে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে বলা হয় মাঝারি, আর ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে বলা হয় মাঝারি থেকে ভারী। আবার ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে বলা হয় ভারী। সর্বশেষ ৮৮ মিলিমিটারে উপরে বৃষ্টি হলে বলা হয় অতিভারী বৃষ্টি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরন কেন্দ্র জানান, উত্তরাঞ্চলের তিস্তা অববাহিকায় আশেপাশে জেলা সমূহে অতিভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে গত ২৪ ঘন্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বৃষ্টির পরিমাপে নীলফামারী শহরে ১৪৫ মিলিমিটার, নীলফামারীর তিস্তা অববাহিকার ডালিয়া পয়েন্টে ১২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অতিভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৩ জুন) এই পয়েন্টে একই সময় পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। এতে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ধরা হয় ৫২.১৫ সেন্টিমিটার। ফলে তিস্তার ডালিয়া এলাকায় কমলা সংকেত জারি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি আগামী ২ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তিস্তা নদী সতর্কসীমায় (বিপদসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে।
অপর দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সারা দেশের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় অতিভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে তিস্তা অববাহিকার নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে ডোবা নালা খালবিল উপচে পড়ছে বৃষ্টির পানি।