
মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।
দীর্ঘদিন ধরে তরুণ প্রজন্মের কাছে রাজনৈতিক প্রেরণা ও আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিত নীলফামারীর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং নীলফামারী-১ ডোমার -ডিমলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এই জনপ্রিয় নেতা বর্তমানে জেলার তরুণ-যুবকদের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। মাঠপর্যায়ের নিরলস কর্মতৎপরতা, মানবিক উদ্যোগ এবং যুবসমাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা তাকে নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের রাজনীতিতে একটি নির্ভরযোগ্য মুখে পরিণত করেছে।
১৯৯৬ সালের ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ইঞ্জিনিয়ার তুহিন। বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে হিসেবে রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা তুহিন পেশায় একজন দক্ষ প্রকৌশলী। শিক্ষিত ও আধুনিক নেতৃত্বের মেলবন্ধন হিসেবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু থেকেই বিশেষ করে তরুণদের কাছে তাকে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণ বরাবরই প্রশংসিত হয়েছে।
শুধু রাজনীতিতেই নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক উন্নয়ন খাতে সরাসরি অবদান রেখেছেন তিনি। সম্প্রতি ডোমার, ডিমলা ও জেলার অন্যান্য এলাকায় তার আয়োজিত জনসভা, গণসংবর্ধনা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবিরগুলোতে বিপুল সংখ্যক তরুণ-যুবকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তার জনপ্রিয়তার বাস্তব প্রমাণ। যুবকদের কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা কার্যক্রমে তিনি পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে আসছেন, যা তাকে সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার এক ঠিকানায় পরিণত করেছে। স্থানীয় এক তরুণ উদ্যোক্তা বলেন, “তুহিন ভাই শুধু রাজনীতির কথা বলেন না, তিনি আমাদের পাশে দাঁড়ান, আমাদের সমস্যা শোনেন এবং সমাধানের পথ দেখান। এমন নেতার প্রয়োজন দেশের প্রতিটি জেলায়। রাজনৈতিক জীবনে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ২০০৭ সালের ১/১১ সরকারের সময় এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার কারণে দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাসে থাকতে হয়েছে। দেশে ফিরে আইনি লড়াই মোকাবিলা করেও তার জনসম্পর্ক ও জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি বরং আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, তুহিনের সাফল্যের মূল রহস্য তার মাঠপর্যায়ে সরাসরি উপস্থিতি, তরুণদের সঙ্গে আন্তরিক যোগাযোগ, উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক সততা। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে তিনি শুধু নীলফামারী নয়, জাতীয় পর্যায়েও প্রভাবশালী নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারেন। ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন আজ উত্তরাঞ্চলের তরুণদের কাছে শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং স্বপ্ন, আশা ও আস্থার প্রতীক।