
সুজন আলী, রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।
তীব্র গরমে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে নানা ধরনের রোগের প্রকোপ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড ও হিটস্ট্রোক আক্রান্ত রোগী। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা এছাড়াও রোগীর সংখ্যা আগে তুলনায় অনেক বেড়েছে। বেড কম থাকায় বেড না পেয়ে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ভর্তি রোগীরা
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সরজমিনে দেখা গেছে, রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শতাধিক রোগী। রোগীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও সেবিকাদের। এছাড়া রোগীদের বেডে জায়গা না হওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতেই দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝেতে ভর্তি হয়ে থাকা রোগী আইরিন বেগম বলেন, গত কাল হঠাৎ আমার বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয় । হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি বেড না থাকায় মেঝেতে বেড তৈরি করে চিকিৎসা নিচ্ছি। এখন বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ।
আরেক রোগী বলেন , তীব্র গরমে ভুট্টা শুকানোর কাজ করেছি। হঠাৎ গতকাল থেকে আমার পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানা। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে স্যালাইন ও চিকিৎসা নিয়েছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া এক শিশুর অভিভাবক বলেন গত দুই তিন দিন আগে আমার বাচ্চার শ্বাসকষ্ট সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন চিকিৎসা নিয়ে অনেকটাই সুস্থ।
রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ চৌধুরী জানান, ৫০ শয্যার ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন প্রায় শতাধিক রোগী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেডের তুলনায় রোগী বেশি ভর্তি থাকলেও সাধ্যমত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তীব্র গরমে হাসপাতালে বেশ কিছুদিন থেকে ডায়রিয়া রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। গরমের কারণে মা, শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়া রোগে ভুগছে বলে মনে করছি। তবে আমাদের হাসপাতালে ওষুধ ও স্যালাইন পর্যাপ্ত থাকায় এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, এই গরমে ভাজাপোড়া খাবার কম খেতে হবে খাবারের আগে সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধৌত করতে হবে। তীব্র গরমে বেশি বেশি পানি ও খাবার স্যালাইন খেতে হবে । ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।