
শুভরঞ্জন বড়ুয়া
আলীকদম ( বান্দরবান ) প্রতিনিধি।
আলীকদম ব্যাটালিয়ন ( ৫৭ বিজিব) ‘র উদ্যোগে ক্ষুদ্র
আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি) এর আওতাধীন দূর্গম সীমান্তে বসবাসরত পাহাড়ী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে (কম্বল) বিতরণ এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
৪-ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ৫৭ বিজিবির অধিনায়ক সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন কালে বান্দরবান জেলাধীন থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের অন্তর্গত দূর্গম বুলুপাড়া, পানঝিরি ও লিকড়ী সীমান্তে বসবাসরত স্থানীয় পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রান্তিক পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। একই সাথে এসকল নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন, আলীকদম ব্যাটালিয়ন ৫৭ বিজিবির অধিনায়ক লেঃকর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদী।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে বলে ৫৭বিজিবির অধিনায়ক নিশ্চিত করেন। সময় সীমান্তে নিয়োজিত বিভিন্ন পদবীর বিজিবি সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় পাড়াকারবারী/হেডম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ভবিষ্যতেও আলীকদম ব্যাটালিয়ন ৫৭ বিজিবি এসকল মানবিক এবং জনকল্যানমূলক কর্মকান্ডের ধারা অব্যহত থাকবে বলে জানান,
আলীকদম ব্যাটালিয়ন ৫৭ বিজিবির অধিনায়ক লেঃকর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদী জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কক্সবাজার রিজিয়নের, বান্দরবান সেক্টরের অধীনস্থ আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি) সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী থেকে সীমান্ত নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অতি দূর্গম বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, আলীকদম ব্যাটালিয়ন অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃ রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনের পাশাপাশি “অপারেশন উত্তরণ” এর আওতায় দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে বিভিন্ন সময়ে মানবিক ও জনকল্যানমূলক কাজের অংশ হিসেবে বিনামূলো চিকিৎসা সেবা প্রদান, আর্থিক অনুদান, খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ, শীতকালীন কম্বল বিতরণ, অগ্নিকান্ড এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে পাহাড়ী বাঙ্গালী সম্প্রীতি সুদৃঢ়করণে বিজিবি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও বিজিবি সার্বক্ষণিক দূর্গম পার্বত্য সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ভাবে সাহায্য-সহযোগিতার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে।



