
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে উদগ্রীব। তারা তাদের ভোটে নির্বাচিত সঠিক নেতৃত্বের হাতে দেশের শাসনভার দেখতে চায়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদাতের নয় বছর পর আন্দোলন সংগ্রাম করে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপি গত ১৭ বছর স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। জনগণের পূর্ণ সমর্থন ছিল বলেই আমরা জুলুম ও নির্যাতন সত্ত্বেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে পেরেছিলাম। এখন ফ্যাসিন্ট হাসিনার পতনের পর দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে নেওয়ার জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপির সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির উপর বিশ^াস করে। বিএনপির হাতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত থাকবে। আমরা দেশের মানুষের আস্থার প্রতিদান দিতে প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, একটি গোষ্ঠি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে চায়। ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের এ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউই গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করতে পারবে না।
তিনি বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে নগরীর চৌকিদিঘিস্থ রংধনু আবাসিক এলাকায় পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাষ্টি সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রদীপ কুমার দেব, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ, মদন মোহন কলেজের অধ্যাপক আমিরুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রাজীব কুমার দে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কোতোয়ালি থানার সভাপতি এড. অরবিন্দ দাস গুপ্ত বিভু, ঐক্য পরিষদ জালালাবাদ থানা সভাপতি জিডি রুমু, পূজা পরিষদ মোগলাবাজার থানা সভাপতি মনমোহন দেবনাথ, ঐক্য পরিষদ দক্ষিণ সুরমা থানার সভাপতি রাজ কুমার পাল রাজু, সিলেট মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মলয় লাল ধর, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মুন্না ঘোষ, ঐক্য পরিষদ জালালাবাদ থানা সভাপতি সঞ্জয় পাল, ঐক্য পরিষদ শাহপরান থানা সাধারণ সম্পাদক আশীষ রায়, ঐক্য পরিষদ শাহপরান থানা সভাপতি ধীরেন্দ্র ধর, পূজা উদযাপন পরিষদ জালালাবাদ থানা সাধারণ সম্পাদক স্বপন পাল, পূজা উদযাপন পরিষদ কোতোয়ালি থানার সাধারণ সম্পাদক উত্তম ঘোষ, নির্ঝর রায়, রনি পাল, রাজন আচার্য্য, জনি রায়, সুনাম দেব, কনক কান্তি দাস, প্রীতম ঘোষ, শঙ্কর রঞ্জন ঘোষ, লিটন চন্দ নীল, পূজা উদযাপন পরিষদ দক্ষিণ সুরমা থানার নেতা সুমন চন্দ্র রায়, বিশ্বজিত দাস প্রমূখ।