
মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।
দেশের ওপর মৌসুমী বায়ু এখন কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কিছুটা আশার কথা জানা গেছে কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকাসহ চারটি জেলা ও পাঁচটি বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি কোথাও কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এবং আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত পূর্বাভাসে এসব কথা জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।
আজ তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও আগামীকাল থেকে পরের চার দিন তা সামান্য কমতে পারে। এ ছাড়া ১৮ জুন পর্যন্ত দেশের আট বিভাগেই হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
বিশেষ করে দেশের রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলায় বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। মৃদু থেকে মাঝারি মানের এই তাপপ্রবাহে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল নীলফামারীর ডিমলায়। এ ছাড়া বান্দরবানে সর্বনিম্ন ২৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
গরমের তীব্রতায় সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় পড়েছে নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলার শিশুরা। জ্বর, ঠান্ডা, এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে কয়েকগুণ। পানিশূন্যতায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ মতা কমে এ ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলে গরমের তীব্রতায় শিশুদের বাড়তি যত্নের তাগিদ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা, নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. দিলীপ বলেন, গরম বেশি হওয়ার কারণে জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত রোগী আগের চেয়ে বেশি আসছে। এ পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে। বাচ্চারা সাধারণত কম খায়। তাই কিছুণ পর পর পানিশূন্যতা দূর করার চেষ্টা করতে হবে, আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে তাপমাত্রার চেয়েও বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে, যা কেটে যাবে কয়েক দিনের মধ্যেই।