স্টাফ রিপোর্ট।

আজকের দিনে স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এই দেশে অনেক জল গড়িয়েছে পদ্মা মেঘনা যমুনায়।

সমাজে নানা পেশার নানা মতবাদের মানুষ দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচয়ে বহুত্ববাদী চিন্তা-চেতনায় দেশকে ভালোবেসে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে চান কিংবা দেশের জন্য অবদান রাখতে চান। কিন্তু অনেকেরই দেশের ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক এবং তথ্যগত জ্ঞানের অভাবের কারণে অথবা চটুল ও সস্তা আলোচনায় জড়িয়ে পড়ে তাঁদের বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। দৃষ্টিনিরপেক্ষ এবং নির্মোহ আলোচনার সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিভ্রান্তির শিকার হন। আজকের প্রজন্ম কিংবা যাঁদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই, তাঁদের জন্য আমাদের দায়বদ্ধতা হছে জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানতে সহায়তা করা, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরে নবীন প্রজন্মকে এগিয়ে নেওয়া। সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস জানা প্রয়োজনীয়।

আজ পত্রিকা খুললেই দেখা যায়, দেশের মানুষ তাদের অদম্য চেষ্টায় যার যার যা সহায় সম্বল আছে তার ওপর ভিত্তি করে নিজেদের অর্থনৈতিক দিক থেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। নারী-পুরুষ আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিশ্বের এগিয়ে চলা দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো দেশ একাকী ভালো থাকতে পারে না; একাকী স্থায়ী উন্নয়ন করতে পারে না। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় পারস্পরিক সম্পর্ক বিদ্যমান রাখা অতি জরুরি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব ধারায়।

ধান উৎপাদন, মাছ চাষ, রবিশস্যের ফলন এবং নানাবিধ ফলের চাষ, দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদাকে জোগান দিয়ে চলেছে খেটে খাওয়া মানুষ। এতে করে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে দেশের নিজস্ব সম্পদের ওপর নির্ভরশীলতার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দেশের কৃষক আমাদের জাতির জন্য খাদ্য উৎপাদন করে আত্মনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তোলার যে অনন্য উদাহরণ তৈরিg করেছে, তাতে পুরো জাতি গর্ব বোধ করে। তৈরি পোশাক রপ্তানি, চা উৎপাদন এবং ওষুধশিল্পের প্রভূত উন্নতি সাধন হয়েছে দেশে। মানবসম্পদকে মর্যাদার সঙ্গে কাজে লাগিয়ে বিদেশে শ্রমবাজার নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আজকের দিনে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন সাফল্যে নিজেদের অবদানকে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরতে চাই, যেহেতু আমরা নতুন প্রজন্মের অবদান নিয়ে গর্ব করতে চাই সেহেতু, ভুল বা বিভ্রান্তিমূলক অপতথ্যে নিজেদের যেন না জড়াই। আমরা যেন সত্যনিষ্ঠ হই; আমরা যেন সত্য অনুসন্ধানী হই। আমরা যেন চাটুকারের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে নিজেদের সম্ভাবনার ক্ষেত্রকে ছোট করে না ফেলি, যার যেখানে অবদান তা স্বীকার করতে দ্বিধাগ্রস্ত না হই, সমাজে শুধু হাত পেতে নেওয়ার কথা না ভাবি, হাতের মুঠো খুলে যেন অবারিতভাবে দেওয়ার কথাও ভাবতে পারি।

৭১, ৯০, ২৪ শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকলকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকারের মাধ্যমে বৈষম্যহীন গনতান্ত্রিক মানবিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড় উঠবে।

লিখেছেন - বিএনপি নেতা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, ৯০'স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সুনামগঞ্জ-২ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী জননেতা মাহবুব চৌধুরী।