বিশ্বের একটা দেশ ফিলিস্তিন। সেখানে যেভাবে গণহত্যা চলছে, এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র দেশের জন্য শুভ কামনা করে নববর্ষ উদযাপন করতে পারি না। পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসকের চাপিয়ে দেওয়া ফ্যাসিবাদী ধারণা, অনুসঙ্গ, প্রতিক, সাংস্কৃতি মুসলমানদের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত বাংলা নববর্ষ ১লা বৈশাখকে ও কুলশিত করছিল।ইসরায়েলের বর্বতার বিরুদ্ধে আরো সোচ্চার হয়ে বৈশ্বিক প্রতিরোধ গড়ে তুলার আহব্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতা, সংসদ সদস্য প্রার্থী, ছাত্রদলের এক সময়ের কেন্দ্রীয় নেতা, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেটের আব্দুল গফুর স্কুল এন্ড কলেজে গর্ভনিং বডির প্রাত্তন সভাপতি, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অভিভাবক এসোসিয়েশনের সভাপতি জননেতা মাহবুব চৌধুরী।
সোমবার ১৪ এপ্রিল সিলেট নগরীতে ফিলিস্তিন সহ বিশ্ব শান্তি কামনায় ১লা বৈশাখ ১৪৩২ নববর্ষ উদযাপনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ইসরায়েলপন্থীদের সমর্থক ছিল।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলা গণতান্ত্রিক শক্তি ও সাধারণ মানুষকে নির্যাতনের জন্য আড়িপাতা যন্ত্র পেগাসাস আওয়ামী লীগ সরকার ইসরায়েল থেকেই কিনেছিলো। বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরায়েল ব্যতীত সকল রাষ্ট্রগমনের যে নির্দেশনা ছিল, সেটি তারা প্রত্যাহার করে নিয়ে পরোক্ষভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিলো।
ইসরায়েলকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে দিতে তাদের পণ্য বর্জনের আন্দোলন সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।ফিলিস্তিনকে রক্ষা করা কেবল একটি ভূখণ্ড রক্ষার প্রশ্ন নয়, বরং এটি আল-আকসা, আল-কুদুস ও মুসলিম জাতির আত্নমর্যাদা রক্ষার লড়াই। পাঠ্যবই ও শিক্ষানীতিতে আল-আকসা, ফিলিস্তিন ও মুসলমানদের সংগ্রামী ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
সিলেট মহানগরের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি আনহার আহমদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা আহছানুজ্জামান শহিদ, সৈয়দ আখতার আহমদ, মিছবাউল করিম চৌধুরী, দিপা বেগম, সুমি বেগম, লামিয়া প্রমূখ।