বঙ্গবীর ওসমানী জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন পরিষদ জাতীয় কমিটির সভাপতি ও জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান বলেছেন, বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তার দৃঢ়তা, কঠোর নিয়মানুবর্তিতা, গণতন্ত্রে অবিচলতা, নিপুণ সমর কুশীলতার মাধ্যমে তিনি ১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সামরিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সব মুক্তিযোদ্ধার আস্থার প্রতীক।
সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ বাংলাদেশ ওভারসীজ সার্ভিসেস এর হলরুমে বঙ্গবীর ওসমানী জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন পরিষদ জাতীয় কমিটির উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০৭ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বঙ্গবীর ওসমানী জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন পরিষদ জাতীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব ডা. এম এ রকিব এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সবুজ বিশ্বাস এর পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টাস লিমিটেড এর ডিজিএম জসিম উদ্দিন খন্দকার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এম এ হান্নান, সিনিয়র সাংবাদিক এম এ মতিন, বঙ্গবীর ওসমানী জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন পরিষদ জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন তালুকদার, ধল উন্নয়ন পরিষদ সিলেটের সভাপতি খালেদ মিয়া, শ্যামল চৌধুরী, শিরিন চৌধুরী, মো. ইউসুফ সেলু, জাহারুন্নেছা বেগম, আব্দুল ওয়াদুদ, মধু মিয়া প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন এস এম বিল্লাহ।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র ছিল ওসমানীর পছন্দ। যে কারণে বাংলাদেশ গঠনের পর জাতীয় সংসদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বের হয়েছিলেন। ব্রিটিশ গণতন্ত্রের একান্ত অনুসারী ওসমানী নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না। অসীম মেধাবী সেনা নায়ক বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মায়নমার ও বার্মা রনাঙ্গনে কমান্ডিং অফিসারের নেতৃত্বে ছিলেন। দ্বিতীয়তো পাকিস্তানের হয়ে ভারতের বিপক্ষে অমর যুদ্ধ করেছেন। সর্বোপরি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে নয় মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বক্তারা ওসমানীর স্মৃতি রক্ষার্থে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের নামকরণের দাবী জানান।