মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: গোবিন্দ মল্লিক।
গত ১৩/০৭/২০২৫ইং মৌলভীবাজার বড়লেখা উপজেলার শামীম আহমদ কাউছার (৬০), পিতা-মৃত মুজাহিদ উদ্দিন,সাং-তেলীগুল, থানা-বড়লেখা,জেলা-
মৌভীবাজার এর বসত বাড়িতে বিকাল ১ ঘঠিকা থেকে ৫ ঘঠিকার মধ্যে কোন লোকজন বাসায় উপস্থিত না থাকার সুযোগে অজ্ঞাতনামা চোরেরা তাহার বসত বাড়িতে প্রবেশ করিয়া ০২ জোরা স্বর্ণের বালা, ০১ জোরা কানের দুল, ০২টি স্বর্ণের চেইন, ০১টি স্বর্ণের ব্রেসলেট, নগদ ১,৪৫,০০০/- (একলক্ষ পয়তাল্লিশ হাজার) টাকা ও ৫০০ ইউএস ডলার সহ মোট ৯,০৭,৫০০/- (নয় লক্ষ সাত হাজার পাঁচশত) টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় বাদি শামীম আহমদ কাউছার এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বড়লেখা থানার মামলা নং-১২, তারিখ-১৪/০৭/২০২৫ইং, ধারা-৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড রুজু করা হয় ।
ঘটনার পর হইতে মাননীয় পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কুলাউড়া সার্কেল মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনা মোতাবেক অফিসার ইনচার্জ, বড়লেখা থানা জনাব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মোল্লার সার্বিক তত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই/রতন কুমার হালদার, এসআই/দেবল চন্দ্র সরকার, এএসআই/ফজলে আজিম ও ফোর্স সহ ঘটনা সংক্রান্তে আসামী সনাক্ত ও মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়।
গত ০৩/০৮/২০২৫ইং তারিখ সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করিয়া দোয়ারাবাজার থানাধীন বাংলাবাজার এলাকা হইতে মামলার ঘটনায় তদন্তে প্রকাশিত আসামী ১। শরীফ আহমেদ (২৪), পিতা-লিটন মিয়া, সাং-খশিরবন হাতির টিলা, বৈরাগীবাজার, থানা-বিয়ানীবাজার, জেলা-সিলেট, বর্তমান ঠিকানা মিরধারপাড়, ১নং বাংলাবাজার ইউপি, থানা-দোয়ারাবাজার, জেলা-সুনামগঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত টিম ভিন্ন ভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ পূর্বক পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য পুংখানু পুংখানো ভাবে যাচাই বাছাই শেষে আসামীদের সনাক্ত পূর্বক
গত ০৩/০৮/২০২৫ইং তারিখ সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করিয়া দোয়ারাবাজার থানাধীন বাংলাবাজার এলাকা হইতে মামলার ঘটনায় তদন্তে প্রকাশিত আসামী ১। শরীফ আহমেদ (২৪), পিতা-লিটন মিয়া, সাং-খশিরবন হাতির টিলা, বৈরাগীবাজার, থানা-বিয়ানীবাজার, জেলা-সিলেট, বর্তমান ঠিকানা মিরধারপাড়, ১নং বাংলাবাজার ইউপি, থানা-দোয়ারাবাজার, জেলা-সুনামগঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামী ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করিয়া তাহার সঙ্গীয় পলাতক আরো ০২ (দুই) জন আসামীর নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। মামলার তদন্তের স্বার্থে পলাতক আসামীদের নাম ঠিকানা গোপন রাখা হয়েছে। আসামীর দেওয়া তথ্য মোতাবেক ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ০১ (এক)টি ইয়ামাহা কোম্পানীর এফজেড এক্স মডেলের মোটরসাইকেল এবং চুরি হওয়া টাকা হইতে নগদ ৮,০০০/-(আট হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে।
আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে বড়লেখা থানা পুলিশ বদ্ধ পরিকর।