
আমরা যেই পরিবর্তনের জন্য লড়েছিলাম, সেটা এখনও অধরা। সরকারে এখন আর সেই আন্দোলনের স্পিরিট নেই।
আমাদের সন্তানেরা ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু এখন যা দেখছি, সেটা তো সে দেশের প্রতিচ্ছবি না। আমরা শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক দেশের জন্য আন্দোলন করেছিলাম।
মাহবুব চৌধুরী। বিএনপি নেতা, সংসদ সদস্য প্রার্থী, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, সিলেট জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, মহানগরের সাবেক সহ সভাপতি, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেটের আব্দুল গফুর স্কুল এন্ড কলেজ গবর্নিং বডির প্রাত্তন সভাপতি। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনৈতিক জীবন বেছে নিয়ে নানান কাট কোর পুড়িয়েছেন।
রাজনৈতিক নানান পটভূমিতে ভূমিকা পালন করেছেন এই নেতা।কারাবরণ থেকে শুরু করে স্বৈরশাসকের জুলুম নির্যাতন সহেছেন। মেধা, পরিশ্রম, সৃজনশীল ‘রাজনীতিবিদ জননেতা মাহবুব চৌধুরী এখনো দেশের গতিবিধির ওপর নজর রাখেন। সম্প্রতি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয় প্রতিদিনের খবরের।
সাক্ষাৎকারে মাহবুব চৌধুরী বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর হয়ে গেলো। যে প্রত্যাশা ও স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতা এ অভ্যুত্থানকে সংগঠিত করেছিল, সেগুলো (প্রত্যাশা) এখনো পূরণ হয়নি। গণতান্ত্রিক ধারা বা রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে দেশের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হোক। তবে নির্বাচন যাতে অবাধ নিরপেক্ষ হয়, সেজন্য আগেভাগেই প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে নিতে হবে।
আমি তো মনে করি, জনগণ ভুল করেনি। জনগণের শক্তিকে যদি কেউ আবির্ভাব ঘটাতে সক্ষম হয়, তাহলে কেউ আমাদের বিজয় ঠেকাতে পারবে না। সেটাই কাজ।
আমাদের বিজয়ের সম্ভাবনাগুলো যাতে বিনষ্ট না হয়, সেজন্য আপামর জনগণ, বিশেষ করে মেহনতি জনগণকে সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক পরিবেশ রচনা করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণের মতামত ও অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করে দেশে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চলমান রাখা।
যত তড়াতাড়ি সম্ভব রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত। অনির্বাচিত সরকার থাকার কারণেই জনগণ বিদ্রোহ করেছিল। সেই পর্ব সমাপ্ত করে জনগণের নির্বাচিত সরকার এবং শাসন প্রতিষ্ঠা করা দরকার। এর মধ্য দিয়ে অন্ধকারের জুলাই দ্রুতই অবসান করতে হবে।