
সুজন আলী, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর রাতে পাশ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার গণির হাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়ে। এদিকে এদিন সকালে চেয়ারম্যানের প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ সমর্থক তার মুক্তির দাবিতে থানার মূল ফটকের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের শান্ত হতে বললে, অবরোধকারীরা আরো উত্তেজিত হয়। পরে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে এবং ৪ জনকে আটক করেন। আটককৃতরা হলেন মফিজুল ইসলাম সেন্টু (৪০) শিমুল ইসলাম (৩৫) মুক্তারুল ইসলাম (৩২) ও দেলোয়ার হোসেন (৩৭) এজাহার সূত্রে জানা যায়,
হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মমতাজ আলী (মাস্টার) গতকাল মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল বিকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে রাণীশংকৈলে আসার পথে বারোঘরিয়া বাজারে পৌঁছালে চেয়ারম্যান মতি ও তার লোকজন বিএনপি নেতা মমতাজের পথরোধ করে তাকে মারপিট করে। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা ১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় মমতাজ আলী বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি (৪৫) কে প্রধান আসামি করে আনোয়ার হোসেন (৩৫) মনিরুল ইসলাম মনিরসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে থানায়
মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১১। এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা আরশেদুল হক জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলার ১নং আসামী মতিউর রহমান মতিকে রাতে গ্রেফতার করে সকালে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। ওসি আরো জানান, থানার সামনে চেয়ারম্যানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কিছু লোকজন রাস্তা অবরোধ করে। তাদের আমরা ছত্রভংঙ্গ করে দেই।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাফিউল মাজলুবিন রহমান মুঠোফোনে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ কারণে চেয়ারম্যানের কিছু সমর্থক বেআইনি ভাবে রাস্তায় জমায়েত হয়ে রাস্তা অবরোধ করে।
আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সহায়তায় তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
এরপর পরিবেশ শান্ত হয়। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।