
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মিজানুর রহমান ও রেজাউল করিম নামে দুই ভাইসহ তিনজন গুমের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার দুপুরে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের পারদিলালপুর গ্রামের মিজানুর রহমান ও রেজাউল করিম ও ত্রিমোহনী এলাকার আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবুর বাড়িতে গিয়ে স্বশরীরে তদন্ত করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তদন্তে উপস্থিত ছিলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সহকারি পরিচালক সালাহউদ্দিন, তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও তদন্ত সংস্থা আদালতের প্রসিকিউটর ও কমিশনের একজন প্রতিনিধিসহ ৮ জন। এদিকে নিখোঁজ দুজনের বৃদ্ধ পিতা আইনাল হক জানান, বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ইঙ্গিতে আমার দুই ছেলেকে গুম করা হয়। অন্যদিকে ত্রিমোহনী এলাকার আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবুর স্ত্রী সুমাইয়া বেগম বলেন, স্বামী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। স্থানীয় বাজার ও হাটে মসলা বিক্রি করে সংসার চালাতো। ২০১৭ সালে আমার স্বামীকে গুম করে হত্যা করে আইনশৃংখলা বাহিনী। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের পারদিলালপুর গ্রামের মিজানুর ও রেজাউল করিমকে তুলে নিয়ে যায় শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন ও শাহ আলমসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরে বড় ভাইকে ছাড়ানোর জন্য পুলিশের কাছে যান ছোট ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম। পরে রাজশাহীর এসএস প্লাজা ছাত্রাবাস থেকে রেজাউলকেও উঠিয়ে নিয়ে যায় সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ সদস্যরা। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন দুই ভাই মিজানুর রহমান ও রেজাউল করিম।