Sunday, June 15, 2025
Sunday, June 15, 2025
Homeসম্পাদকীয়সব কালো আইন বাতিলের দাবি ডিআরইউ ও বিএনপি নেতা মাহবুব চৌধুরীর।

সব কালো আইন বাতিলের দাবি ডিআরইউ ও বিএনপি নেতা মাহবুব চৌধুরীর।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস

স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধের জন্য করা সব ‘কালো আইন’ বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ( ডিআরইউ) ও বিএনপি নেতা, সংসদ সদস্য প্রার্থী, ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা, ৯০’স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, আব্দুল গফুর স্কুল এন্ড কলেজ গর্ভনিং বডির সাবেক সভাপতি জননেতা মাহবুব চৌধুরী। মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে প্রতিবছর ৩ মে বিশ্বজুড়ে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ পালিত হয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) প্রতিবছর ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্য থেকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক প্রকাশ করে। আরএসএফের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে এ সূচক প্রকাশ করছে সংগঠনটি। চলতি বছর ১৬৫ থেকে ১৪৯তম অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ।

দিবসটি উপলক্ষে এক বার্তায় শুক্রবার (২ মে) কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এ দাবি জানান।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নতি খুবই আশাব্যঞ্জক খবর। আমাদের আরও উন্নতির জায়গা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে নানা ধরনের ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও বাংলাদেশের সাংবাদিকতার বিকাশ ঘটেছে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ, পরিবেশন, প্রচার, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সাংবাদিকদের সক্ষমতার ক্ষেত্রে গুণগত অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এ পরিবর্তনের সঙ্গে সংগতি রেখে কোনো প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় কোনো কার্যকর কাঠামো গড়ে ওঠেনি। যার ফলে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার ঝুঁকি একটুও কমেনি। আগে থেকে দাঙ্গা-বিক্ষোভে কখনো পুলিশ, কখনো বিবদমান পক্ষের হাতে সাংবাদিকেরা মার খাচ্ছেন। মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গুম বা অপহরণের শিকার হচ্ছেন; এমনকি হত্যার শিকার হচ্ছেন। রেহাই পাচ্ছেন না সম্পাদকেরাও।

বিশ্লেষক ও বিএনপি নেতা মাহবুব চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী কিছু আইন। দেশের সংবিধানে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়া হলেও অনেক আইন রয়েছে, যা সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধে ব্যবহৃত হয়। সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধে আইন থাকলেও তাঁদের সুরক্ষার কোনো আইন নেই। কালো আইন রেখে স্বাধীন সাংবাদিকতা আশা করা যায় না। গণমাধ্যমের কালো আইন বাতিল ও স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানা বিএনপির এই নেতা।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সাম্প্রতিক পোস্ট

সাম্প্রতিক মন্তব্য

%d bloggers like this: