
জাহিদুল ইসলাম, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারী কর্মসূচি সফলের লক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রচারনা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়ছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নীলফামারী জেলা শাখার আয়োজনে ডালিয়া নতুন বাজারে জেলা যুবদলের সভাপতি এ.এইচ.এম সাইফুল্লাহ রুবেলের সভাপতিত্বে ও ডিমলা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আশিক উল ইসলাম লেমন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক সাহাদত হোসেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান কোকো, ডিমলা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সেলিম, ডোমার উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইফতেখারুল আলম তিতুমীর, জলঢাকা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হারুন জোয়াদ্দার, ডিমলা সদর উজেলা যুবদলের আহবায়ক সোহাগ খান লোহানী, যুগ্ন আহবায়ক আইয়ুব আলী, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হালিমুল হোসেন রাসেলসহ জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জেলা যুবদলের সভাপতি এ.এইচ.এম সাইফুল্লাহ রুবেল বেলেন, একসময়ের খরস্রোতা তিস্তাকে এ অঞ্চলের জীবনরেখা বলা হতো। কিন্তু তিস্তা নদীর উজানে বাঁধ নির্মাণের কারণে তিস্তা নদী আজ শীর্ণ, স্থবির, একটি মৃতপ্রায় নদীতে পরিণত হয়েছে। বর্ষাকালে ভারতের বাঁধ থেকে বিনা নোটিশে পানি ছাড়ায় তিস্তার দুই কূল প্লাবিত হয়ে মানুষের ঘরবাড়ি, আবাদি ফসল মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন করে, জনজীবন বিপন্ন করে তোলে। আবার খরার মৌসুমে তিস্তার পানি প্রবাহ প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে। ফলে তিস্তা নদীর দুই পারের মাইলের পর মাইল এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হয়ে চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
ডিমলা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আশিক উল ইসলাম লেমন বলেন, তিস্তা একটি আর্ন্তজাতিক নদী। কিন্তু এই তিস্তার অববাহিকার মানুষ দীর্ঘ দিন পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চলছে রাজনৈতিক স্থবিরতা। তাই পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে মানুষকে বিপন্ন অবস্থা থেকে মুক্তির দাবিতে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারী ৪৮ ঘণ্টা তিস্তাপাড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচিতে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।