
মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।
ভৌগোলিক অবস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় জমিসহ সার্বিক বিবেচনায় নীলফামারীর দারোয়ানীতে চীনের উপহারের এক হাজার শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতালটি স্থাপনের জন্য উপযুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হারুন-অর-রশীদ। তার ভাষ্য, জেলা প্রশাসকের প্রস্তাবিত জায়গাটি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত করেনি। আর ভৌগোলিক ও যোগাযোগের দিক বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে প্রথম পছন্দের জায়গা এটি, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে নীলফামারী সদরের দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন ২৫ একর সরকারি খাস জমি পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে ডা. মো. হারুন-অর-রশীদ জানান, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছিলেন রংপুরের আশেপাশে জায়গা নির্বাচন করতে। সে অনুযায়ী আমরা রংপুর যে জায়গাটি পরিদর্শন করেছিলাম সেটি মোটেও সন্তোষজনক না। এরপরেই নীলফামারী জেলা প্রশাসক অতিদ্রুতই এই জায়গা নির্বাচন করে আমাদের রিপোর্ট পাঠান। আমরা জায়গা পরিদর্শন করলাম এবং এই জায়গার সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমরা অনেকটা পজিটিভ স্থানে আছি। কারণ জেলা প্রশাসকের প্রস্তাবিত জায়গাটি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত করেনি।
এদিকে হাসপাতালটি কোথায় স্থাপন হবে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা আলোচনা চলছে। বিষয়টি নজরে এসেছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকেরও। তিনি বলেন, ফেসবুকে যা লেখালিখি চলছে এসব নিয়া চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীন সরকারের উপহারের এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নীলফামারীতেই হবে এবং এই দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন স্থানেই হবে। প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন ১০ থেকে ১২ একর জমি প্রয়োজন। কিন্তু আমরা নীলফামারীর এই স্থানে এসে দেখলাম এখানে ২৫ একর জায়গা রয়েছে। অতএব আমরা এখানে আরও সুন্দরভাবে কাজ পরিচালনা করতে পারবো। এই স্থানটিই আমাদের প্রথম পছন্দ, যোগ করেন ডা. মো. হারুন-অর-রশীদ।
এসময় সেখানে নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইদুল ইসলাম, বিএনপির জেলা শাখার সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।