Sunday, June 15, 2025
Sunday, June 15, 2025
Homeআন্তর্জাতিক১৫ স্থাপনায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশেই ধ্বংসের দাবি ভারতের।

১৫ স্থাপনায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশেই ধ্বংসের দাবি ভারতের।

ভারতের ১৫টি শহরে অবস্থিত সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। তবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সেগুলো ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে। পাশাপাশি, পাকিস্তানের কিছু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার দাবি করেছে তারা। তবে পাকিস্তান এখনো এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি দেশটির সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, পাকিস্তান গতকাল বুধবার রাতে এবং আজ বৃহস্পতিবার ভোরের আগে ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ১৫টি শহরের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। এসব স্থাপনা ছিল জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও গুজরাটে। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত সরকার।

সরকার বলেছে, শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং অন্যান্য স্থানে পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় হামলার চেষ্টার জবাবে ভারতীয় বাহিনীও লাহোরসহ কয়েকটি স্থানে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও ব্যবস্থাগুলো লক্ষ্য করে সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারত সরকার জোর দিয়ে বলেছে, ভারতীয় বাহিনীর এই পদক্ষেপ ছিল পাকিস্তানের হামলার ‘একই ক্ষেত্র এবং একই তীব্রতায়।’ সরকার আরও বলেছে, পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল হামলার জন্য। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে ।

সরকার জানিয়েছে, ধ্বংস হওয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এটি ভারতের এই অভিযোগের পক্ষে আরও প্রমাণ যোগ করবে যে পাকিস্তান বা পাকিস্তানের ‘ডিপ স্টেট’ ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে আর্থিক বা সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহায়তা করে।

এর আগে, ভারত ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ নামে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানে হামলা চালায়। ভারতের দাবি, এই হামলা ছিল গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়া।

এদিকে, ভারত সরকার জানিয়েছে, পেহেলগাম হামলার ২৪ ঘণ্টা পর থেকেই পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে গোলাবর্ষণ ও শেলিংয়ের তীব্রতা বাড়িয়েছে। কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার এবং রাজৌরি সেক্টরে মর্টার ও ভারী আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ৫ শিশু রয়েছে।

এক ভারতীয় সেনাও মারা গেছেন বলে সরকার জানিয়েছে। সরকার আবারও জোর দিয়ে বলেছে, যদি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও উত্তেজনা না বাড়ায়, তাহলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীও উত্তেজনা বাড়াবে না।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সাম্প্রতিক পোস্ট

সাম্প্রতিক মন্তব্য

%d bloggers like this: