Monday, August 11, 2025
Monday, August 11, 2025
Homeজাতীয়গরুর মাংসের উপকার ও ঝুঁকি।

গরুর মাংসের উপকার ও ঝুঁকি।

পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের বড় অংশ গরুর মাংসের যাবতীয় রান্না। তাই গরুর মাংসের বৈজ্ঞানিক পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

উপকার- উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন প্রাণিজ খাদ্যের মধ্যে আছে গরুর মাংস।

আমিষ : প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে প্রায় ২৬ গ্রাম উচ্চমানের আমিষ থাকে, যা পেশি গঠন ও পুনর্গঠনে সহায়ক, শিশু, কিশোর ও গর্ভবতী নারীদের জন্য এই আমিষ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আয়রন : গরুর মাংসে থাকা আয়রন সহজে দেহে শোষিত হয়। এটি রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে এবং দেহে অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে।

ভিটামিন বি১২ ও জিংক : ভিটামিন বি১২ স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অন্যদিকে জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।
শক্তি উৎপাদনে সহায়তা : গরুর মাংসে ক্রিয়াটিন ও কারনোসিন নামের যৌগ থাকে, যা দেহে শক্তি জোগায়।

সেলেনিয়াম : অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।

নিয়াসিন ও রিবোফ্লাভিন : শক্তি উৎপাদনে সহায়ক।

স্নায়ুতন্ত্র ও ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি

হৃদরোগ ও উচ্চ কোলেস্টেরল : গরুর মাংসের চর্বি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কম চর্বিযুক্ত মাংস খান। অতিরিক্ত লবণ ও তেলে রান্না পরিহার করুন।

ক্যান্সারের আশঙ্কা : ২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করে যে লাল মাংস বেশি খাওয়া কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

বিশেষত কয়লায় পুড়িয়ে বা বারবার গরম করে খেলে নাইট্রোসামাইন নামের ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হয়।
ইউরিক এসিড ও গাউট : গরুর মাংসে থাকা পুরিন উপাদান ইউরিক এসিড বাড়ায়। গাউট রোগীদের জন্য এটি একেবারেই নিষিদ্ধ বা সীমিত রাখা উচিত।

হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য : প্রচুর মাংস খেলে এবং পর্যাপ্ত সবজি না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল বা গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।

ডায়াবেটিস ও কিডনির রোগী : আমিষ সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করুন।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সাম্প্রতিক পোস্ট

সাম্প্রতিক মন্তব্য

%d bloggers like this: