
মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।
চিকিৎসক সংকটে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। মাত্র ৫ জন চিকিৎসক দিয়ে প্রতিদিন ৩’শ থেকে ৪’শ রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ ও শয্যার অভাব থাকায় রোগীদের অনেককেই মেঝে বা বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। মাত্র ৫ জন চিকিৎসক দিয়ে প্রতিদিন ৩’শ থেকে ৪’শ রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮০ থেকে ১০০ জন, যা গ্রীষ্মকালে বেড়ে দাঁড়ায় ১২০ জন পর্যন্ত। অনেক রোগী জায়গার অভাবে বারান্দায় অবস্থান করছেন। হাসপাতাল চত্বরেও রয়েছে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। হেল্প ডেস্ক ও বহির্বিভাগ প্রায় মোটরসাইকেল রাখার গ্যারেজে পরিণত হয়েছে। রোগীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে, অনেকেই চিকিৎসক না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। জানা গেছে, ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১০ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও জনবল বৃদ্ধি পায়নি। এখানে ৩২ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৫ জন। চারটি চরাঞ্চলসহ প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র এটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চিকিৎসক ছাড়াও নার্স, টেকনোলজিস্ট, ফিল্ড স্টাফ ও অন্যান্য পদসহ মোট ৭০টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩২ জন। ৩৮টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। ফলে রোগীদের অনেক সময় চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে। প্যাথলজি বিভাগে জনবল না থাকায় রোগীদের যেতে হচ্ছে বাইরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
চিকিৎসা নিতে আসা ডাঙ্গাহাট এলাকার অন্তঃসত্ত্বা বিথী আক্তার বলেন, ‘লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছি, কিন্তু গাইনি ডাক্তার না থাকায় শুধু ওজন ও প্রেসার মেপে পাঠিয়ে দিয়েছে।টুনিরহাট এলাকার মুনতাহা বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। এত কষ্ট করে এসেও ডাক্তার না পাওয়ায় খুবই হতাশ।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আলী নোমান বলেন, ‘প্রতিদিন ইনডোর ও আউটডোর মিলিয়ে তিন থেকে চারশত রোগী সেবা নিচ্ছেন। সীমিত জনবল নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সীমিত জনবল নিয়ে এত সংখ্যক সেবা প্রত্যাশীদের চিকিৎসা দেয়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে।