
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মাহবুব আলী খান শুধু একজন সামরিক কর্মকর্তা বা মন্ত্রী ছিলেন না, তিনি ছিলেন জাতির জন্য নিবেদিতপ্রাণ এক দেশপ্রেমিক। তাঁর নেতৃত্ব, সাহসিকতা ও দেশমাতৃকার প্রতি গভীর ভালোবাসা আমাদের প্রেরণার উৎস। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি যে আত্মত্যাগ করেছেন, তা কখনো বিস্মৃত হওয়ার নয়। আজকে যখন আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করছি, তখন তাঁর মতো আদর্শবান ও সাহসী নেতৃত্ব আমাদের জন্য এক বাতিঘর। ইমদাদ হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, মাহবুব আলী খান ছিলেন একজন আদর্শবান দেশপ্রেমিক, যিনি দেশের স্বার্থে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
আজকের দিনে তাঁর মতো সাহসী নেতৃত্ব আমাদের আরও বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দমন-পীড়ন, গুম-খুনের ঘটনা অহরহ ঘটেছে। সেসময়ে জনগণের পক্ষে অবস্থান নিতে মাহবুব আলী খানের মতো দেশপ্রেমিক মানুষের খুবই প্রয়োজন ছিল। তিনি যেভাবে দেশের স্বার্থে আত্মত্যাগ করেছিলেন, ঠিক তেমনি আমাদেরকেও আজ ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নামতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সিলেট নগরীর কাজিটুলার মক্তবগলির মারকাজুল আল-আমীন মাদ্রাসায় সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ, যোগাযোগ এবং কৃষি মন্ত্রী নৌ-বাহিনী প্রধান মরহুম রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খান এর ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদ আহমদ মুকুল, সহ সভাপতি সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আলো, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান মোহন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, সহ প্রচার সম্পাদক আলী হায়দার মামুন, মহানগর নির্বাহী কমিটির সদস্য মতিউর রহমান শিমুল, আব্দুল মোমিন, যুবদলের সহ সভাপতি ময়নুল হক, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাসিম আহমদ চৌধুরী। সিলেট নগরীর কাজিটুলার মক্তবগলির মারকাজুল আল-আমীন মাদ্রাসা। এসময় দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুর রশিদ। বিজ্ঞপ্তি