Friday, September 19, 2025
Friday, September 19, 2025
Homeবিশেষ প্রতিবেদনডিমলার বন্যায় উদ্ধারের নৌকা রেসকিউ বোট, অযত্নে অবহেলায় অচল হয়ে পড়েছে।

ডিমলার বন্যায় উদ্ধারের নৌকা রেসকিউ বোট, অযত্নে অবহেলায় অচল হয়ে পড়েছে।

মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।

নীলফামারীর ডিমলায় সীমান্তবর্তী তিস্তা নদীতে বন্যা মোকাবিলার জন্য কোটি টাকারও বেশি মূল্যে কেনা দুটি উদ্ধারকারী নৌকা (রেসকিউ বোট) অযত্নে-অবহেলায় অচল হয়ে পড়েছে। নৌকাগুলো দীর্ঘদিন ধরে রোদ-বৃষ্টিতে পড়ে থেকে মরিচায় ক্ষতিগ্রস্ত, কেবিন-জানালা ভাঙা ও ইঞ্জিন প্রায় অচল হয়ে গেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০২০ ও ২০২১ সালে নীলফামারীর ডিমলায় বরাদ্দ পাওয়া নৌযান দুটি রাখা হয় খগাখরিবাড়ি ইউনিয়নের পাগলপাড়া ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ডনের সাইড ঘাটে। একেকটি ৫৪ ফুট লম্বা ও ১২.৫ ফুট চওড়া নৌকা ৮০ জন যাত্রী বহনে সক্ষম এবং ঘণ্টায় ৭ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে পারে। উদ্দেশ্য ছিল বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ ও গবাদি পশু উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রমে ব্যবহার করা।

সরকারি নথি অনুযায়ী প্রতিবছর রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানি ও রং করার জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকে। কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ হয়নি। স্থানীয়রা জানান, সামান্য মেরামত বা ক্ষুদ্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টাকা উত্তোলন হলেও তার ব্যবহার হয়নি। নৌকাগুলো বর্তমানে অচল হয়ে পড়ে আছে।

একজন নৌকার ক্রু জানান, ২০২১ সাল থেকে নৌকাটি এখানে আছে, কিন্তু এক লিটার মবিলও সরবরাহ করা হয়নি। এমনকি ১০ মাস ধরে তাদের বেতনও বন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোটি টাকার সরকারি সম্পদ নষ্ট হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী জানান, সরকারের দেওয়া নৌকাগুলো দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলায় অকেজো হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে। ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, নৌকাগুলো ব্যবহার না হওয়া দুঃখজনক। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সাম্প্রতিক পোস্ট

সাম্প্রতিক মন্তব্য

%d bloggers like this: