Friday, September 19, 2025
Friday, September 19, 2025
Homeরাজনীতিঅভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে...

অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে ————-মাওলানা হাবিবুর রহমান।

ইবনে সিনা মেডিকেল সিলেট লিমিটেড এর সম্মানিত চেয়ারম্যান ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা ও শৃঙ্খলাবোধ গড়ে তুলতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে। এ ধরনের সমাবেশ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তোলে এবং তাদের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

তিনি সন্তানদের প্রতি আরও যত্নশীল হতে বিদ্যালয় কর্তৃক এ ধরণের প্রতিটি কার্যক্রমে উপস্থিত থাকার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সিটি মডেল স্কুলের উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিটি মডেল স্কুল ও সিটি আদর্শ ফাউন্ডেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রাজন এর সভাপতিত্বে ও স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলিক সাহিত্য সংঘের মাননীয় সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতি সিলেটের নির্বাহী সদস্য এডভোকেট কল্যাণ চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগরের সহ-সভাপতি ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগরের সেক্রেটারি প্রদীপ দেব, ইত্তেহাদুল কুররা বাংলাদেশ এর সভাপতি ও দি জগন্নাথপুর ইসলামিক সোসাইটি সিলেটের সাবেক চেয়ারম্যান মুফতি মাওলানা আলী হায়দার, শাহজালাল জামেয়া ইসলামীয়া কামিল (এম.এ) মাদরাসা সিলেটের হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা আবু সালেহ মোঃ আলাউদ্দিন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধান শিক্ষক তার বক্তব্যে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মানোন্নয়ন, সহপাঠ কার্যক্রম এবং চরিত্র গঠনে বিদ্যালয়ের ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বাস্তব জীবনের নানা উদাহরণ তুলে ধরে শিক্ষা ও অভিভাবকের সম্মিলিত দায়িত্ব সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করেন।
অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেন। তারা শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং বিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সমাবেশে বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে আসে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতি, শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা প্রদান, এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতনতা। সবশেষে অভিভাবক ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানটি এক আত্মিক মিলনমেলায় রূপ নেয়, যা শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে। বিজ্ঞপ্তি

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সাম্প্রতিক পোস্ট

সাম্প্রতিক মন্তব্য

%d bloggers like this: