
মো: জাহিদুল ইসলাম,
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো জোটে না গিয়ে এককভাবে সর্বাধিক আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
দেশের ৩০০ আসনে নবাগত এই দলটির কারা প্রার্থী হতে যাচ্ছেন তা এখনও অধরাই রয়ে গেছে। তবে চলতি মাসের (নভেম্বর) মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই আসনগুলোর দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে নির্ভরযোগ্যসুত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে নীলফামারী ১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে এনসিপির জেলা কমিটির যুগ্ন সদস্যসচিব রাশেদুজ্জামান রাশেদের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম পাওয়া গেছে। নীলফামারী-১ (ডোমার ডিমলা) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর পক্ষ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রাপ্তি প্রত্যাশার কথা ঘোষণা করেছেন নীলফামারী জেলা এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারীর মুখপাত্র
রাশেদুজ্জামান রাশেদ। তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেয়া এক পোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন।
রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন আমাদের লুটপাট, দুর্নীতি, কালোটাকা নাই, তবে রাষ্ট্রের মুক্তি এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রাম আছে। আমাদের পেশি শক্তির দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি নেই, তবে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের সুষ্ঠুধারার বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি আছে। তাই জনগণের টাকায় জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে ভোট এবং ভোটের খরচ জুগিয়ে জনগণের পরে সৎ-যোগ্য-নীতিমান প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে এলাকাবাসীকে আহবান জানান তিনি।
এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, নীলফামারী -১ (ডোমার- ডিমলা) আসনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে “শাপলাকলি” প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ডোমার ও ডিমলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা ও উন্নয়নবঞ্চনার শিকার। কৃষিভিত্তিক কোনো শিল্প কল- কারখানা গড়েনি। এলাকার শিক্ষিত তরুণ, কৃষক, মেহনতি মানুষ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং অবহেলিত জনগোষ্ঠী তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং আমি বিশ্বাস করি, সত্যিকারের জনসেবক হিসেবে জনগণের পাশে থেকে সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করলে নীলফামারী-১ আসনের চিত্র পাল্টে দেয়া সম্ভব। তার মতে, রাজনীতি ব্যক্তিস্বার্থে নয়, বরং দেশ ও জনগণের স্বার্থে হওয়া উচিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, একটি মানবিক, উন্নয়নমুখী ও সুশাসনভিত্তিক রাজনীতি গড়েতোলা এবং ধর্ম, বর্ণ ও পরিবার তান্ত্রিক বিভাজনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করাইতার রাজনীতির মূল লক্ষ।



